শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী: রাজশাহীতে নবাগত জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন রিয়েল স্টেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (রেডা) রাজশাহী’র নেতৃবৃন্দ। রহমান সোনা, রাজশাহী: রাজশাহীতে নবাগত জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন রিয়েল স্টেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (রেডা) রাজশাহী’র নেতৃবৃন্দ।
Category: Uncategorized
সরকারি ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, রাজশাহীর আয়োজনে তিনদিনব্যাপি সায়েন্স কার্নিভাল এবং পিঠা উৎসব শেষ হয়েছে। শনিবার বিকেলে ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে পুরষ্কার বিতরণীর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
ল্যাবরেটরি স্কুলের ১৯৭৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুলতান চাগতাই এর সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক ডা. মোঃ হাবিবুল ইসলাম, আল-আকসা ডেভেলপার্স (প্রাঃ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ.স.ম মিজানুর রহমান কাজী, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস.এম মাহবুবুল হক, ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ১৯৮২ ব্যাচের প্রফেসর সারোয়ার জাহান বাবু, ১৯৭৪ ব্যাচের সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী শাহীন এবং ২০০৩ এর ডা.আসফাক হোসেন সুইট।
অংশ নেন নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, উদ্যোক্তাসহ অসংখ্য দর্শনার্থী।
৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন ১৯ জন উদ্যোক্তা। তারা পাটিসাপটা, নকশি, পাকন, দুধপুলি, চিতইসহ শীতকালীন বাহারি স্বাদের পিঠের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন।
এছাড়াও মেলায় হাতের কাজ, ব্লক-বাটিক, টাই-ডাই, অর্গানিক ফুড নিয়েও উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি ছিলো। অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা আমরা রাজশাহীর উদ্যোক্তা নামক গ্রুপ থেকে তিনব্যাপি এই পিঠা উৎসবে অংশ নেন।
মেলায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিল আল-আকসা ডেভেলপারস (প্রাঃ) লিমিটেড।
পুরষ্কার বিতরণী পর্বে তিনদিন ব্যাপি সায়েন্স কার্নিভালে অংশ নেওয়া বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া। উদ্যোক্তাদের পক্ষে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন আমরা রাজশাহীর উদ্যোক্তা গ্রুপের এডমিন মিজান রহমান।
আয়োজকরা জানান, আগামীতে আরো বৃহৎ পরিসরে এই উৎসব উদযাপিত হবে।
তামান্না ইমাম, উদ্যোক্তা বার্তা ,
স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী অন্যতম আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আল-আকসা’র পক্ষ থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সিপাইপাড়াস্থ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ গেটের বিপরীতে অবস্থিত ডক্টর’স টাওয়ারের তৃতীয় তলায় আল-আকসার প্রধান কার্যালয়ে বিকেল ৪.৩০ মিনিটে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো: সালেহ উর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান কাজী সহ অন্যান্য কর্মকতা ও কর্মচারীবৃন্দ।
কম্বল বিতরনকালে মিজানুর রহমান কাজী বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা শ্রমিক ভেদাভেদ করিনা। সকলে একটা পরিবারের মতো। সবাই মিলে এই প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সুন্দর করতে চাই। সকলে যদি সকলের পাশে থাকি এই প্রতিষ্ঠান রাজশাহীর গন্ডি ছাড়িয়ে দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
আমরা করোনার সময় চেষ্টা করেছি সবাইকে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করতে। এখন তীব্র শীত রাজশাহীতে। আপনাদের কষ্টের কথা বিবেচনা করেই এবার কম্বল দিচ্ছি সবাইকে। আপনারা ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকবো। এসময় তিনি রাজশাহীর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনুরোধ করেন তারাও যেনো তাদের কোম্পানীর মতো নিজ নিজ শ্রমিকদের পাশে এসে দাড়ান।
চেয়ারম্যান বলেন,আপনারা আমাদের ভাইয়ের মতো। এখানে সবাই সমান। কেউ বিপদে থাকলে আমরা সবাই মিলে তার পাশে দাড়াবো। সেই চিন্তা থেকেই এ সহায়তা করা।
কম্বল পেয়ে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পাঁচ বছরের আয়াতুল্লাহ খমেনী ও এগারো বছর ধরে কাজ করা খায়রুল জানান,সব সময় আল-আকসা আমাদের পাশে ছায়ার মতো থাকে। আজকেও একটা ভালো কাজ তারা করেছে। আমাদের দোয়া থাকবে এই প্রতিষ্ঠান আরো অনেক ওপরে উঠবে। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফজলে রাব্বি।
সানশাইন / শামি
২য় বারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হওয়ায় মাননীয় মেয়র মহোদয়কে আল-আকসা ডেভেলোপার্স পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।
এগিয়ে চলছে ঢাকার বাইরের আবাসন খাত
খন্দকার আনিসুর রহমান, সাবেক রেল কর্মকর্তা। চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকেছেন। অবসরের পর সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে নিজের একটি স্থায়ী আবাস কেনার চেষ্টা করছেন। সন্তানেরা চাচ্ছেন, ঢাকাতেই ফ্ল্যাট কিনে থাকুক তাঁদের মা–বাবা। কিন্তু খন্দকার আনিসুর রহমানের ইচ্ছা জন্মস্থান রাজশাহীতে ফ্ল্যাট কিনে বসবাস করার। খন্দকার আনিসুর রহমানের মতো অনেকেই আছেন, যাঁরা স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য নিজ এলাকায় ফ্ল্যাট বা প্লট কিনতে চান।
বেশ কয়েক বছর ধরে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিস্তার শুরু করেছে আবাসন ব্যবসা। বিভাগীয় শহরগুলোর পাশাপাশি জেলা শহরেও শুরু হয়েছে আধুনিক ফ্ল্যাট নির্মাণ।
নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলো নগরের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন উপজেলায়। ঢাকার পর রিয়েল এস্টেট খাতের সর্বোচ্চ বিকাশ হয়েছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম শহরে যেমন দেখা মেলে ছিমছাম সাজানো–গোছানো বাড়ি বা ভিলার, তেমনি দেখা মেলে সুউচ্চ আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট কিংবা আকাশছোঁয়া বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স ভবনেরও। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা রিহ্যাবের সদস্য হিসেবে চট্টগ্রামে রয়েছে ৮৩টির বেশি আবাসন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান। রিহ্যাবের চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তাদের ২৫০টির বেশি প্রকল্পের কাজ চলমান।
র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর শাহরিয়ার রিমন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে অ্যাপার্টমেন্ট ব্যবসার সূচনা আইডিয়াল হোমের হাত ধরে। পূর্ব নাসিরাবাদে ‘আপন নিবাস’ নামে একটি প্রকল্প দিয়ে ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামে প্রথম কোনো অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এরপরই নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে এসে নতুন করে চট্টগ্রামে আবাসন ব্যবসার পালে লাগে সুবাতাস ইকুইটি ও স্যানমারের হাত ধরে। চট্টগ্রামে বর্তমানে প্রথম সারির আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিজ, স্যানমার প্রোপার্টিজ, ইকুইটি, ফিনলে প্রোপার্টিজ, সিপিডিএল, বিটিআই, এএনজেড প্রোপার্টিজ, ইপিক প্রোপার্টিজ, নাভানা রিয়েল এস্টেট, কনকর্ড ও জুমাইরা হোল্ডিং অন্যতম।
চট্টগ্রামের তুলনামূলক গোছানো এলাকাগুলো খুলশী, নাসিরাবাদ হাউজিং, জিইসি মোড় এবং এর আশপাশ মেহেদীবাগ, জামালখান, লালখানবাজার, আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাঁচলাইশ ইত্যাদি এলাকায় চোখে পড়ে অসংখ্য ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টসমৃদ্ধ আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্পের। নগরীর আশপাশে আছে ল্যান্ড প্রজেক্টও। অন্যদিকে পাহাড়তলী, কাট্টলী, বাকলিয়া, মুরাদপুরের আশপাশ, অলংকার, সাগরিকা রোড ও বিবিরহাটের মতো এলাকায় কিছুটা অপরিকল্পিত নগরায়ণ হলেও অসংখ্য মানুষের বাস এখানে। আর বাণিজ্যিক এলাকার কথা বলতে গেলে মুরাদপুর, ও আর নিজাম রোড, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, ২ নম্বর গেট, বায়েজিদ, টেক্সটাইল, অক্সিজেন ও বড় পোলের মতো জায়গা উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রামে বর্তমানে ১ থেকে ৪ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বনিম্ন ৫৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাট রয়েছে চট্টগ্রামে।
শিক্ষানগরী রাজশাহীতেও আবাসন খাত ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজশাহীর আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন (রেডা) আবাসন খাত সবার কাছে তুলে ধরার জন্য আবাসন মেলার আয়োজন করে।
রেডার সদস্য ২৭টি প্রতিষ্ঠানই রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসা করছে। রেডার সাধারণ সম্পাদক ও আল-আকসা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান কাজী বলেন, রাজশাহীতে মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের বসবাস। তাই তাঁদের টার্গেট করেই আবাসন ব্যবসা পরিচালিত হয়। মধ্যবিত্তরা যেন কিনতে পারেন, সে অনুযায়ী ফ্ল্যাট ও প্লটের দাম নির্ধারণ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহীতে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট তৈরি করে থাকে। ফ্ল্যাটের দাম প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান কাজী জানান, ৩৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে রাজশাহীতে ভালো মানের ফ্ল্যাট পাওয়া যায়।
এ ছাড়া বিভাগীয় শহরের মধ্যে বরিশাল, সিলেট, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুরে ধীরে ধীরে আবাসন ব্যবসার বিকাশ হচ্ছে। আর জেলা শহরের মধ্যে কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, নরসিংদীসহ প্রায় প্রতিটি বড় জেলায় আবাসন খাত গড়ে উঠছে।
স্টাফ রিপোর্টার : আল-আকসা ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড এবার নির্মাণ করছে আল-আকসা রিভেরী টাওয়ার। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর সিপাইপাড়া জেলগেটের দশতলা বিশিষ্ঠ এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে শুক্রবার বিশেষ দোয়া মাহফিলের করা হয়। মূলত আল-আকসা রিভেরী টাওয়ার তিন ইউনিট বিশিষ্ঠ অত্যাধুনিক দশতলা ভবন নির্মাণ করা হবে।
আল আকসা ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান কাজি জানান, আল আকসার প্রতিটি ভবনের নাম বিশেষ গরুত্ব বহন করে। কাঞ্চন টাওয়ান, ডক্টর টাওয়ার, স্বাধীনতা টাওয়ার বা একুশে টাওয়ারের মতই আধুনিক মানের এই ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, অন্যঅন্য ভবনের মতই যথা সময়ে এই ভবনের কাজ শেষ করে ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরো বলেন, আল-আকসা মানে মানুষের আস্থার স্থল। আল-আকসার ১৩টি বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। এরমধ্যে ৮টি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বাকিগুলো কাজ শেষে সময়ের আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। আসা করা হচ্ছে আল-আকসা রিভেরী টাওয়ার সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে হস্তান্তর করা হবে।
এক্ষেত্রে তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। আল-আকসা রিভেরী টাওয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আল-আকসা ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ সালেহ-উর রহমান, রেডার প্রচার সম্পাদক আক্তারুল হুদা রুমেলসহ জমির মালিক ও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ। দোয়া পরিচালনা করেন লক্ষীপুর চৌরঙ্গী মসজিদের পেশ ইমাম আবুল কালাম আজদ। অনুষ্ঠানে জমির মালিকসহ স্থানী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভবনের নাম দিয়েই যায় চেনা
দিন শেষে সবাই শান্তির নীড়ে ফিরে আসতে চান, পছন্দ করেন শান্তিময় পরিবেশ। গ্রাহকদের স্বপ্নের সেই ঠিকানা গড়ে দিতে এখন রয়েছে অসংখ্য আবাসন প্রতিষ্ঠান সকলের কাছে যা রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নামে বেশি পরিচিত। রাজশাহী নগরীতেও এখন গড়ে উঠেছে অসংখ্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। সিল্কসিটিতে এরকম যে প্রতিষ্ঠানটির কথা প্রথমে মাথায় আসে সেটি ‘আল–আকসা ডেভলপারস প্রা:লি:।’ কোয়ালিটি বজায় রেখে সঠিক সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করায় বর্তমানে প্রথম সারিতে অবস্থান করছে উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান কাজীর এই প্রতিষ্ঠানটি।
২০১১ সালে প্রথম প্রজেক্ট ‘এঞ্জেলিকা’ করেছিলেন এই উদ্যোক্তা এবং তার আরেক পার্টনার। সেসময় যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আল-আকসার প্রথম প্রজেক্ট কাঞ্চন টাওয়ারের কাজ শেষে সঠিক সময়ের মধ্যেই হস্তান্তর করা হয়। এখন পর্যন্ত আল-আকসার ১৫ টি প্রজেক্ট। এর মধ্যে চারটি ক্লায়েন্টদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, আটটির কাজ চলমানএবং তিনটি দ্রুতই হস্তান্তর করা হবে।
আল-আকসার ভবনগুলোর নাম দিয়েই এর চরিত্র বোঝা যায়। লক্ষীপুরে ‘বিজয় টাওয়ার’, সিএন্ডবি মোড়ে ‘স্বাধীনতা টাওয়ার’, সিএন্ডবি এন্ড লক্ষীপুরের মাঝে ‘একুশে টাওয়ারের’ কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে বারবার মুক্তিযুদ্ধের কথা, স্বাধীনতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই নগরীর জনবহুল এসব এলাকার প্রজেক্টগুলোর নামকরণ হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তা। রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের সামনে ‘সুপ্রিম টাওয়ার’, সাহেব বাজারে ব্যবসায়িক বহুতল ভবন ‘গোল্ডেন টাওয়ার’, সাগর পাড়ায় ‘সাগর বিলাস’, পুরাতন পাসপোর্ট অফিসের সামনে ‘অর্কিড’, উপশহর আমবাগানে রয়েছে ‘আদরী’। এই প্রজেক্টগুলো চলমান। এছাড়াও ইতোমধ্যে কাঞ্চন টাওয়ার, ডক্টরস টাওয়ার, সাউথ ব্রিজ এবং দক্ষিণা নিলয় ক্লায়েন্টদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বিপরীতে ডক্টরস টাওয়ারে অবস্থিত আল-আকসার অফিসে উদ্যোক্তা বার্তার সাথে কথপোকথনে উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান কাজী বলেন: ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শুধু মানুষকে বুঝিয়েই গেছি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি কী?’ বর্তমানে অসংখ্য মানুষ রিয়েল এস্টেট সম্পর্কে ধারণা রাখলেও ২০১১-১২’র দিকে তেমন ধারণা ছিল না। আর রাজশাহীতে ছিল না বললেই চলে। সেসময় মানুষকে বোঝাতেই আমার এত বছর লেগে গেছে। এখন রাজশাহীতেও অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি চলে এসেছে। আমি বেশকিছু বছর হলো এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি ‘সুন্দর বাড়ি, সুন্দর জীবন।’ আমার মূল লক্ষ্য ছিলো আমি যেটাই করি না কেন কোয়ালিটি মেইনটেইন করবো। তাই আমার প্রজেক্ট সংখ্যা লক্ষ্য করবেন তুলনামূলক কম। আমি বছরে ১৪টি না, প্রয়োজনে চারটি প্রজেক্ট করবো- চারটিই কোয়ালিটি হবে এবং সঠিক সময়ে দিতে হবে– বরাবর আমি এমন চিন্তাই করেছি এবং সে অনুযায়ী কাজ করেছি।
“ল্যাবরেটরি স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় একবার শরীরচর্চা ক্লাসে আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধার এবং পছন্দের শিক্ষক প্রয়াত নাঈমুল হক স্যার আমাকে কাছে ডেকে বলেছিলেন ‘তুমি যত ভালো কর্মী হবা তত ভালো নেতা হতে পারবা।’ সেদিনের ওই কথা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং সেভাবেই আমি চলার চেষ্টা করি। আমি স্বপ্ন দেখি রাজশাহী এক সময় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে। সে অনুযায়ীই আমরা কাজ করছি। দৃষ্টিনন্দন ভবন অবশ্যই পর্যটন শিল্পকে আকৃষ্ট করবে।”
তার প্রতিষ্ঠান আল-আকসার নতুন সংযোজন ইন্টেরিয়র ডিজাইন। সেখানেও সফলতার ছাপ ফেলছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে আল-আকসাতে ২৭ জন স্থায়ী সহযোদ্ধা কাজ করছেন। টিম ওয়ার্কে বিশ্বাসী উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান কাজী নিজে অফিসে না আসলেও সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন হবে এভাবেই তৈরি করেছেন একেকজন সহযোদ্ধাকে। তবুও দৈনিক অফিসে আসা, প্রজেক্ট ভিজিট সবকিছুই করেন সঠিক সময়ে।
এই উদ্যোক্তার জন্ম থেকে বেড়ে উঠা রাজশাহীতেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেন। চাকরিও করেছেন বেশকিছু বছর। এরপর এগ্রো সেক্টরে চলে আসেন। সেখানেও দক্ষতার ছাপ রেখে এসেছেন এই উদ্যোক্তা।
এছাড়াও তিনি আবাসন ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান ‘রিডা’ তে যুক্ত রয়েছেন। সংগঠনটির মাধ্যমে ভবন নির্মাণ, কেনা-বেচা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা এবং নির্ভয়ে বাড়ির মালিকরা বহুতল ভবন গড়ার ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে পারেন। বহুতল ভবন নির্মাণের ফলে রাজশাহীর অন্তত ৫০০ বিঘা জমি বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যে তরুণরা আবাসন ব্যবসায় আসতে চান বা অন্য কোন উদ্যোগ নিতে চান– সকলকেই ওই বিষয়ে সঠিক ধারণা নিয়ে তারপর সে কাজে নামার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এই উদ্যোক্তা।
তামান্না ইমাম, উদ্যোক্তা বার্তা ,
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর একটি চাকরির ব্যবস্থা করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। আল-আকসা ডেভলপার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি পদে তাঁর এই চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চাকরি পাওয়া এই নারীর নাম মাহফুজা খাতুন। শনিবার দুপুরে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক ও আল আকসা ডেভলপারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান কাজী মাহফুজা খাতুনের কাছে চাকরির নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। আরএমপি কমিশনারের দপ্তরেই এ আয়োজন করা হয়।
মাহফুজা খাতুনের স্বামী কামাল পারভেজ আরএমপি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় গত বছরের ২৬ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এতে ছোট্ট এক শিশুসন্তানকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন মাহফুজা খাতুন। তিনি একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছিলেন। পুলিশ কমিশনার সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে পরামর্শ করেন। এরপর মেয়র মাহফুজার চাকরির জন্য আল-আকসাকে বলেছিলেন। সে অনুযায়ী আল-আকসা মাহফুজাকে একটি চাকরি দিল।
আল-আকসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান কাজী বলেন, পুলিশ কমিশনার ও সিটি মেয়রের কথায় একজন অসহায় নারীকে চাকরি দিতে পেরে তাঁরা আনন্দিত। মাহফুজা বলেন, চাকরি পেয়ে তিনিও খুশি। এখন তিনি তাঁর সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারবেন।
রাজশাহীতে করোনার অতিমাত্রায় প্রাদুর্ভাবের কারণে রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন রাজশাহী রেডার পক্ষ থেকে রাজশাহী মেট্রাপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব আবু কালাম সিদ্দীকের হাতে KN-95 মাস্ক তুলে দেন রেডার সাধারণ সম্পাদক এবং আল-আকসা ডেভেলপার্স (প্রাঃ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মিজানুর রহমান কাজী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেডার সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মেসবাউল বারী সওদাগর।